ওয়ান মিনিট টিভি ডেস্ক :
২০২৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সাঁথিয়ার কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছেন পাবনাস্থ সাঁথিয়া সমিতি।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন বোয়ালমারী কামিল মাদ্রাসার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী সোয়াদ আল সোহান। অতঃপর সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশন, আমন্ত্রিত অতিথিগণের আসন গ্রহণ এবং ফুলেল শুভেচছা প্রদান। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, প্রতিভার স্বীকৃতি সনদ ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।
পাবনাস্থ সাঁথিয়া সমিতির সভাপতি ও কিমিয়া বিশেষজ্ঞ সেন্টারের স্বত্বাধিকারী কৃষিবিদ মোস্তফা জামাল শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. তালেবুর রহমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে ভালো ফলাফল করেছো এটা যেমন পরিবারের আনন্দের বিষয় তেমনি সাঁথিয়াবাসীর জন্য গর্বের ব্যাপার। তবে তোমাদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে, তোমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে; এইচএসসিতেও ভালো ফলাফল করে ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হতে হবে; একজন সুনাগরিক হতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলামে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নিজেকে যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের করে গড় তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জক এবং সাঁথিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাঁথিয়া উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মীর নজমুল বারি নাহিদ, সাঁথিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন রানা, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল হাই, নারিয়াগোদাই হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, পাবনা জর্জ কোর্টের এডিশনাল পিপি এ্যাডভোকেট মনোয়ার জাহিদ, সংগঠনের সহ সভাপতি আব্দুল বাসেদ, সহ-সভাপতি ও পাবনা জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক একেএম ফিরোজ হোসেন প্রমুখ।
কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন বোয়ালমারী কামিল মাদ্রাসার কৃতী শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন এবং সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী গউসুল আলম রাফি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক, আদর্শবান ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।তিনি আরো বলেন, এ+ পেয়েছো এটাই তোমানাদের চূড়ান্ত সফলতা নয়। সামনে আরো অনেক পথ বাকি আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও জীবনে ভালো কিছু করতে না পারলে, এই এ-প্লাসের মূল্যায়ন থাকবে না। তোমাদের মেধার সাথে নৈতিক, মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে।
সভাপতি কৃষিবিদ মোস্তফা জামাল শাশীম সংগঠনের লক্ষ্য ও উদেশ্য তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে করণীয় কথা তুলে ধরেন৷ শেষে অত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪ জন এবং কিমিয়া বিশেষজ্ঞ সেন্টারের পক্ষ থেকে ৮ জন মোট ১২ জনকে দুই বছরের জন্য বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং সংগঠনের সদস্যসহ প্রায় তিনশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মনছুর আলম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল করিম। অনুষ্ঠানে সম্পাদনে সহযোগিতা করেন, কিমিয়া বিশেষজ্ঞ সেন্টার, বনলতা সুইটস এন্ড বেকারি এবং এমএস ল্যাবরেটোরিজ লি.।
0 Comments