Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পাবনায় শিমুল বিশ্বাসের উদ্যোগে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত


সমন্বিত পরিকল্পনায় তিন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সরেজমিন পরিদর্শন


জুবায়ের খান প্রিন্স : 

পাবনার দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো বাস্তব রূপ পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও আহেদ আলী বিশ্বাস মানব কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে। তার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে যোগাযোগ, রেলপথ ও নৌপরিবহন—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সারাদিনব্যাপী পাবনার বিভিন্ন স্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

রেল, সড়ক ও নৌপথ—তিন খাতেই বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

সরকারি প্রতিনিধি দল ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই, কাজীরহাট ফেরিঘাট স্থানান্তর করে খাসচরে নতুন ফেরিঘাট স্থাপন, ঢালার চর থেকে রাজবাড়ী হয়ে পদ্মা রেলসেতুর সঙ্গে সংযোগস্থাপন প্রকল্পের প্রাথমিক মূল্যায়ন এবং সড়ক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করে দেখেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক বলেন,

“উত্তরাঞ্চলের কৃষি ও শিল্প সমৃদ্ধ প্রবেশদ্বার হিসেবে পাবনাকে ঘিরে বড় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হলে ঢাকা থেকে পাবনার দূরত্ব শুধু কিলোমিটারে নয়—সম্ভাবনা ও অর্থনীতির পরিমাপকেও বদলে দেবে।"

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম শোভন আশাবাদ ব্যক্ত করেন,

 “ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব রূপান্তরের পথে রয়েছে। প্রস্তুতি এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।”

“রাজনীতি নয়, উন্নয়নই হোক একমাত্র লক্ষ্য”—শিমুল বিশ্বাস

উন্নয়ন সমন্বয়ের কেন্দ্রীয় মুখ এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন,

 “কোনো বিভাজন সৃষ্টি করে নয়, কাউকে অপমান করে নয়—সব মতের, সব ধর্মের, সব পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। পাবনার উন্নয়ন আমার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়; এটি আমার দায়িত্ব ও অঙ্গীকার।”

সরকারি প্রতিনিধিরা তার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন,

“শিমুল বিশ্বাসের বাস্তবভিত্তিক উপস্থাপনা, আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তার কার্যকর সমন্বয়ই আমাদের বারবার পাবনায় আসতে উৎসাহিত করেছে। আমরা তার সঙ্গে থেকে দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।”

সারাদিনব্যাপী কর্মসূচিতে ছিলো মাঠ পর্যায়ের জনসম্পৃক্ততা

গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার, জনপ্রতিনিধি থেকে সাংবাদিক—সব শ্রেণির মানুষের উপস্থিতিতে আমলাদের সঙ্গে একাধিক উন্মুক্ত বৈঠকে উঠে আসে বাস্তব সমস্যাবলী ও সম্ভাবনার দিকগুলো।

দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে দুপুরে পাবনা সার্কিট হাউজে বৈঠক, বিকেলে ঢালারচর রেলস্টেশন পরিদর্শন, এবং রাতে বেড়া-কাজীরহাট-নারাদহ-খাসচর লিংক রোড সংলগ্ন নদীতীরে মাঠপর্যায়ের উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে কাজীরহাট ফেরিঘাটে সচিবদের বিদায় জানানো হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

পাবনাবাসীর প্রত্যাশা—“এবার সত্যিই বদলে যাবে যোগাযোগের মানচিত্র”

স্থানীয়দের অভিমত, এ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে পাবনা শুধু উত্তরাঞ্চলের নয়, বরং জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম লজিস্টিক হাবে পরিণত হবে।

Post a Comment

0 Comments

বৈশিষ্ট্যযুক্ত খবর

বগুড়ায় টিএমএসএসের উদ্যোগে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ