রাব্বি ইসলাম :
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস । এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী উৎসব ও মেলার আয়োজন।
এখন কুষ্টিয়া শহরতলীর ছেঁউড়িয়ায় কালিগঙ্গা নদীর তীরে লালন আখড়া বাড়িতে এখন সাজ সাজ রব। ইতিমধ্যে এ উৎসবের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে আয়োজকরা। আগামী শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এবং উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
বাংলা ১২৯৭ সালের পহেলা কার্তিক (১৬ অক্টোবর) সাধক লালন সাঁই এই ছেউড়িয়াতেই দেহ ত্যাগ করেন। এরপর থেকে লালনের অনুসারীরা প্রতিবছর ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে আসছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এবার জাতীয় পর্যায়ে লালন তিরোধান দিসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই উৎসবে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আঁখড়া বাড়িতে ছুটে আসছেন লালন অনুসারী, সাধু-গুরু, বাউল ও ভক্তরা। ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা গেয়ে চলেছেন লালনের গান। এই গানের মধ্য দিয়ে লক্ষ মানুষের মাঝে ফকির লালন সাইয়ের বাণী পৌঁছে দিবেন তারা। লালনের আঁখড়া মেতে উঠবে গুরু-শিষ্যর মিলন মেলায়। কতৃপক্ষরা আশাবাদী যে প্রতিবছরের তুলনায় এবার লালন তিরোধান দিবসে বাউলদের উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি হবে।
ছেউড়িয়ায় আসা লালন ভক্ত ও বাউল রিদয় শাহ বলেন, ‘মানবতাবাদী মহান সংস্কারক মহাত্মা আব্দুল লতিফ লালন সাঁইজী ছিলেন বাঙালি অসাম্প্রদায়িক ও মরমী চেতনার প্রাণপুরুষ। এর ভক্ত রিফার হোসেন, বিজয় হোসেন রোহান, নূর ইসলাম আরো বলেন তার ধামে আমি নিয়মিত আসি। কালজয়ী মহাসাধক লালনের বাণী আর সুরের গহীনে ডুব দিতে চাইলে ছেউড়িয়া আসা দরকার বলে মনে করি।
0 Comments