জুবায়ের খান প্রিন্স :
শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পাবনা পৌরসভা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিশেষ অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রি./১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ) রাতে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী তপন চন্দ্র মজুমদার। উদ্বোধন করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শ্রী বিজন কান্তি সরকার।
সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শিবজিত কুমার নাগ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ মান্নান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক প্রমুখ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট মলয় কুমার ও সাধারণ সম্পাদক দীপংকর সরকার জিতু, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আলহাজ্ব তৌফিক হাবিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ড. নরেশ চন্দ্র মধু এবং রোটারিয়ান প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ শিবজিত কুমার নাগ। সার্বিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং এবি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী নেতা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধি অংশ নেন। আলোচনা শেষে বিদ্যুৎচক্র কালীবাড়ি, শিববাড়ির মহাদেব মন্দির, শালগাড়িয়ার ভোলানাথ মন্দির, দিলালপুর মাতৃ মন্দির, সার্বজনীন ডিপিইউ মন্দির এবং হরিজন কলোনি মন্দিরসহ ৬টি পূজামণ্ডপকে ১ লাখ টাকা করে এবং বাকি ৪৫টি পূজামণ্ডপকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
বক্তারা বলেন, এবারের দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে উদযাপিত হলেও অতীতে যেসব মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার এখনও হয়নি। অনেক সময় অপরাধীদের ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে দায়মুক্ত করা হয়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। তারা এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায্য বিচার দাবি করেন।
এছাড়া বক্তারা বছরে ১৩টি পার্বণ নির্বিঘ্নে পালনের জন্য প্রতিমা বিসর্জনের স্থায়ী স্থান নির্ধারণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তারা বলেন, সনাতন সম্প্রদায়কে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচয়ে চিহ্নিত করা উচিত নয়। দেশের অন্যান্য নাগরিকদের মতোই তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন জানাতে পারেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় ও অনুদান বিতরণের এ প্রাণবন্ত আয়োজনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে পাবনায় সম্প্রীতির সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
0 Comments