স্টাফ রিপোর্টার :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় নগদ অর্থসহ ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি মামলার
এজাহারভুক্ত আসামী সহকারী শিক্ষিকা ইফফাত মোকারবমা সানিমুনকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনেরা।শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভা কক্ষে এ সংবাদ
সম্মেলন করেন মামলার বাদী ব্যাংকার তানিয়া হক। এ সময় তানিয়ার বাবা মো. এনামুল হক ও ভাই মামুনুল হক উপস্থিত ছিলেন। তানিয়া ভাঙ্গুড়া পৌরসভার শরৎনগর বাজারের বাসিন্দা ও চাটমোহর সোনালী ব্যাংক শাখার সিনিয়র ক্যাশ অফিসার পদে কর্মরত।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই ইফফাত মোকাররের মা সানিমুন কয়েক দিনের জন্য আমার বাসায় বেড়াতে আসেন। পরদিন বিকালে আমিসহ আমরা দুই বান্ধবী বওশা কুটুম বাড়ি রেস্টুরেন্টতে বেড়াতে যাই। সেখান থেকে ফিরে সানিমুন নিজ হাতে কফি বানিয়ে আমাকে খাওয়ায়। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকাল দশটার দিকে ঘুম ভাঙলে রুমে সানিমুন রুমে নেই। বাসায় খোঁজাখুঁজির পর সানিমুনকে ফোন করলে সে জানায় জরুরী কাজের
জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমাকে না জানিয়ে এভাবে চলে যাওয়ায় একটু সন্দেহ হয়। তখন দেখি আমার হাত ব্যাগের মধ্যে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা নেই। এরপর ঘরের আলমারি খুলে দেখি আমার ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও নেই। স্বর্ণালঙ্কারের মূল্য আনুমানিক ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পরবর্তীতে সানিমুনকে আসামি করে ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা রুজু করি। কিন্তু মামলার এক মাস অবহিত হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।অভিযুক্ত সানিমুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর-ভাঙ্গুড়া গ্রামের মো. সোহরাব হোসেনের মেয়ে। সে আরাজী পার-ভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা ইফফাত মোকারবমা সানিমুনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,পুলিশ আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
0 Comments